শুক্রবার , জানুয়ারি ১৭ ২০২৫

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন: কর্মবিরতিতে পন্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা

রাত ১২টা থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল

 চাঁদপুরে জাহাজে ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা। ফলে রাত ১২টা থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলম বলেন, “সারবোঝাই পণ্যবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজের ৭ জনকে খুনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে অন্য কারা জড়িত ছিল, প্রশাসনের কাছে তার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।”

তিনি আরও বলেন, “সারাদেশে ১০ হাজার ছোট পণ্যবাহী নৌযান ও লক্ষাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। যারা ওই জাহাজে হতাহতের শিকার হয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি করছি। এছাড়াও সকল নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।”

এর আগে বুধবার চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজের ৭ জন স্টাফকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ওই জাহাজেরই কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান। ইরফান জাহাজের সুকানির সঙ্গে ইঞ্জিনরুমে কাজ করতো। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্যমতে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগে থেকেই জাহাজে ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। আগের দিন রাতের খাবার রান্নার সময় ইরফান জাহাজের বাবুর্চির অগোচরে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে হাতে গ্লাভস পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন ইরফান।