করোনা আ’ক্রান্তের আজ একমাস পূর্ণ হলো বাংলাদেশে: চাঁদপুরে আরো ১জন রোগী ভর্তি 

দেশে করোনা ভাইরাসে আ’ক্রান্তের ঘোষণা আসে গত ৮ মার্চ। আজ বুধবার করোনা আ’ক্রান্তের একমাস পূর্ণ হলো বাংলাদেশে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত 218 জন করোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে 20 জনের। আ’ক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে 54 জন বাড়ি ফিরে গেছেন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে আরো ১জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ৮ এপ্রিল বুধবার সকালে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। করোনার সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য। তিনি জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছেন। তার বাড়ি হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও এলাকায় (বিস্তারিত পরিচয় তুলে ধরা হেলো না)।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও এবং করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল চাঁদপুর টইমসকে জানান, হাসপাতালে আসার পর তাকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডি এলাকার এক তরুণী (১৮) চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এলে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  বর্তমানে এই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ২ জন ভর্তি আছে।  এর আগে  বিভিন্ন সময়ে জেলার সন্দেহভাজন ১০ জনের করোনা টেস্ট হয়েছিলো।  তবে তাদের কারো শরীরে করোনা উপস এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন-

করোনা আ’ক্রান্ত শনাক্তের দুই সপ্তাহের মাথায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। গত ২৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। সেই সঙ্গে দেশের বেশি আ’ক্রান্ত শহর ও এলাকগুলো কঠোর লকডাউনে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, মাদারীরপুর, গাইবান্দা।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষাগারের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে করোনা আ’ক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত হচ্ছে বেশি। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সরকারের পক্ষ থেকে মধ্য এপ্রিলকে করোনা সংক্রমনের সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার সময় বলে অভিহিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে করা ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, ‘এপ্রিল মাসটি নিয়ে চিন্তায় আছি’।

এদিকে, দেশব্যাপী বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসারসহ সরকারের সকল প্রচেষ্টা সত্বেও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন হচ্ছে।

তবে, কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয়দের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কড়া লকডাউনের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকার কাঁচাবাজার ও গ্রাম এলাকার ছোট ছোট বাজারগুলোতে মানুষের ভীড় নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম অবস্থা সংশ্লিষ্টদের।