পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর থেকে ভারী কোনো বোঝা নেই : শহীদ ইয়ামিনের বাবা মহিউদ্দিন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ সভায় শহীদ ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ এর থেকে ভারী কোনো বোঝা নেই।

শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণসভায় বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। এই স্মরণ সভার আয়োজন করে বিএনপি।

সন্তান হারা বাবা আরো বলেন, আর কোন পিতা-মা, বোনকে এই নির্মম পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। আমার ছেলেকে পুলিশ সাঁজোয়াযান ফেলে দেয়ার দৃশ্য যেন আর দেখতে না হয়। এমন কোনো ইয়ামিন যেন পুলিশের ঘৃণার পাত্র না হয়। আগামী দিনে পুলিশ যেন তার সঠিক দায়িত্ব পালন করে। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই এবং শহীদের মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানাই।

এ সময় তিনি সাঁজোয়াযান নিয়ে একটি লিখিত কবিতা পাঠ করেন। শহীদ ইয়ামিন সাভারে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশদের সাঁজোয়াযান উঠে পড়ে। এ সময় গুলিতে সাঁজোয়াযানের ওপর পড়ে থাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়, তখন পুলিশের সদস্যরা তাকে সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে টেনে হেঁচড়ে ফেলে দেন বস্তার ন্যায়। মাটিতে পড়ে লুটিয়ে ইয়ামিন, তখন মারা যায়নি ইয়ামিন। শুধু হাসপাতালে নিলে হয়তো বেঁচে থাকতো ইয়ামিন।

শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে অংশ নিতে শহীদ মিনারে সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচির প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলেন। এরআগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের শুরুতে আন্দোলন শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জনপ্রিয় গান গুলো বেজে শোনানো হয়।