বুধবার , অক্টোবর ৯ ২০২৪

চাঁদপুরে ৪ মামলায় আ’লীগ নেতারা আত্মগোপনে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় চাঁদপুরে ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আসামী করা হয়।

তবে মামলা হওয়ার আগ থেকেই আত্মগোপনে আছেন অনেক নেতা। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা, হুমকি-ধমকি এবং অপরাধমূলক কাজে জড়িত থেকেও অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত মামলায় আসামি হননি।

আইনের আওতায় আসেননি মন্ত্রী, এমপি ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে থাকা কথিত সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অনেক চাটুকার।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যারা এতদিন নিরীহ লোকজনের প্রতি জুলুম ও নির্যাতন করেছেন, তারা নিজ অপরাধবোধ এবং গণপিটুনি থেকে রক্ষায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে আছেন। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের উপস্থিতি কম।

তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই সফলতা

ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অনেকেই চেষ্টা করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রথম মামলা হয় গত ১৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ উপজেলায়। হাজীগঞ্জের আজাদ সরকার (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিনপর ৪০ জনের নামে ওই মামলাটি দায়ের হয়। ওই মামলার বাদী হলেন নিহত ব্যাক্তির ছেলে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি আহম্মেদ কবির হিমেল।

দ্বিতীয় মামলা: গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ১৫ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন

চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শহরের বাগাদী রোড হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা কালু হাওলাদারের ছেলে আ. রাজ্জাক হাওলাদার। এই মামলায় দীপু মনি ও তার বড় ভাই টিপুসহ নামীয় আসামী ৫১০জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী ১২০০।

তৃতীয় মামলা: গত ১৭ আগস্ট তৃতীয় মামলা হয় হাইমচর উপজেলায়। হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহছান হাবিব বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ আসামী করা হয় ৪৩ জনকে।

চতুর্থ মামলা: গত ২০ আগস্ট রাতে এই মামলাটি করেন সদর উপজেলার ঢালীরঘাট (উত্তর বালিয়া) এলাকার মৃত আলী আকবর খানের ছেলে নুরুল ইসলাম খান। এই মামলায় আসামী সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদসহ ৬২৪ জন।