কচুয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ছেলে মানিক সরকার (৫০) মৃত্যুর ৮ দিন পর উপসর্গ নিয়ে বাবার মৃত্যু হয়।
২৮ মে বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে লকডাউন থাকা অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন বাবা মজিবুর রহমান বাচ্ছু সরকার (৮০)।
তার দুই দিন পর ৩০ মে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ফজিলেতুন্নেসা (৭০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
মানিক সরকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তার বৃদ্ধ বাবা ও মা। দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে যখন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় তখন তিনি তার র্কমস্থাল ঢাকা হতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান।
গ্রামের বাড়িতে এসে গত ১৫ মে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯ মে মৃত্যুবরণ করেন মানিক সরকার। তার মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করলে রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ। মানিক সরকারের মুত্যুর ৯ দিন পর করোনার উপসর্গ নিয়ে তার বাবা বাচ্চু সরকার মারা যান। ছেলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন বাবা বাচ্চু সরকার।
মানিক সরকারের বাবার মৃত্যুর ২ দিনের মাথায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন তার মা ফজিলেতুন্নেছা। স্বামী ও ছেলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফজিলেতুন্নেসা । একই পরিবারের একমাত্র সন্তান মানিক সরকারের মৃত্যুর পর বাবা ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. মোঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ জানান, সকালে পারিবারিক সূত্রে ফজিলেতুন্নেসা অসুস্থ এ খবর পেয়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার পথে গোরীপুর নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান,মানিক সরকারের স্ত্রী, ২ ছেলে ১ কন্যাও করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন।