বুধবার , জানুয়ারি ১৫ ২০২৫
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গণশুনানির একাংশ

কচুয়ায় ইউএনওর গণশুনানিতে কমছে দুর্ভোগ

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর গণশুনানির মাধ্যমে মিটছে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি। সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি তার নিজ অফিস কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর‌্যন্ত এই গণশুনানি পরিচালনা করে থাকেন।

উপজেলার শত শত মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি গণশুনানিতে শুনে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেন। তার এই গণশুনানি দিনদিন স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে প্রশাসনের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের বিল্পবের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে সরকার। কিছুদিন পর অব্যাহতি দেওয়া হয় পৌর মেয়র এবং কাউন্সিলরদের।

বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি। ফলে এখন যেন জনসাধারণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর কচুয়া ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই ফোনে, হোয়াটসএ্যাপ, মেসেজ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার  কিংবা সরাসরি ও লিখিতভাবে প্রতিদিন ৪০-৫০টি অভিযোগ পান তিনি। এর মধ্যে অনেক সমস্যাই তাৎক্ষণিক সমাধান কিংবা প্রতি বুধবার গণশুনানির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার উদ্যোগে উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, বৃক্ষরোপণ অভিযান বেগবান করা, সরকার গৃহীত কার্যক্রমে শৃংখলা নিশ্চিত করা, সরকারি অর্থের অপচয় রোধ, ক্রীড়াঙ্গনে গতিশীলতা আনয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করা, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে যৌক্তিক অগ্রাধিকার বিবেচনা এবং প্রতি বুধবার গণশুনানি সহ সর্বসাধারণের জন্য সরকারি সেবা প্রাপ্তির জন্য পথ সুগম করার চেষ্টা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, আমাদের চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে ও সেবা গ্রহীতাদের সদিচ্ছার কারণে সহজে সমস্যাগুলো সমাধান হয়। সমাজের সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং যেকোনো সমস্যা নিরসনে ও দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে।