বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিগত ১৭ বছরের জঞ্জাল মুক্ত না করে জাতি কোনো নির্বাচন চায় না। জঞ্জাল মুক্ত করে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আগেই নির্বাচন দিলে সেটি হবে একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এ জন্য আগে জঞ্জাল মুক্ত করে প্রত্যাশিত সংস্কার করতে হবে। তবেই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ওয়ার্ড সভাপতি–সেক্রেটারি শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য সময়ও নষ্ট করা যাবে না, আবার কারো চাপে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনও দেয়া যাবে না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট চুরির কাজে শিক্ষকদের ব্যবহার করে জাতির কাছে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা নিঃস্ব করে দিয়েছে। আগামীতে যাতে শিক্ষকেরা তাদের মর্যাদা ফিরে পায় সে জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি শুধু একটা পতাকা পেয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা পায়নি। অথচ এদেশের নাগরিকেরা সেই সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের দাবিদারদের হাতে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা লুণ্ঠিত হয়েছে। যার কারণেই বাংলাদেশের ছাত্র–জনতা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করে। এই স্বাধীনতা আর কাউকে নষ্ট করতে দেয়া হবে না। কারো বাপের সম্পত্তি হবে না বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতা। স্বাধীনতা অর্জনকারী এদেশের ছাত্র–জনতা সহ সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে ড. আব্দুল মান্নান ও শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, আব্দুস সালাম, অধ্যক্ষ নুর নবী মানিক, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, শেখ শরিফ উদ্দিন, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।