জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা শাখা ছাত্রদল ও যুবদল। একইসঙ্গে তার কুশপুতুল পুড়িয়ে সর্বাত্মক প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেন সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে বিএনপির ব্যাখ্যা চেয়েছে এনসিপি। একইসঙ্গে বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল ও আগ্রাসী মনোভাবের নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হলেও আজ বুধবার তা প্রকাশ্যে আসে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলতি সপ্তাহের শনিবার চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তার কুশপুতুল পুড়িয়ে ‘‘সর্বাত্মক প্রতিরোধের’’ ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। আমরা এই হুমকির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বিএনপির কাছে দুই ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ‘সর্বাত্মক প্রতিরোধের’ ব্যাখ্যা জানতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি, ফ্যাসিবাদী আমলে আওয়ামী গণহত্যাকারী লীগ কর্তৃক ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের সম্মুখ সারির নেতাদের নানা সময় নিজ এলাকায় প্রবেশে বাধা প্রদান, হুমকি-ধমকি ও হামলা করা হতো। আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, যারা সেই একই কায়দার রাজনীতি আবার ফেরত আনার চেষ্টা করবে, তারা জনগণের গণপ্রতিরোধের মুখোমুখি হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গত রমজানেও চাঁদপুরে নিজ উপজেলায় ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকির শিকার হন মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। কারও রাজনৈতিক মতামতের প্রতিক্রিয়ায় তার নিজ এলাকায় ‘‘সর্বাত্মক প্রতিরোধের’’ ঘোষণা কোনো রাজনৈতিক আচরণ নয়; বরং হুমকিমূলক ও আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক মন্তব্যকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে; ত্রাস ও হুমকি দিয়ে নয়। ত্রাস ও হুমকি-ধমকি মূলত রাজনৈতিক পরাজয় প্রকাশ করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে এমন উচ্ছৃঙ্খল ও আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন নেতাকর্মীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।