৩০ লাখ শহীদের মধ্যে গেজেটভূক্ত ৫ হাজার ৭৯৫জন

সংসদ রিপোর্টার
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকার বাইরে যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন, তা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ সম্ভব হবে।
বর্তমানে দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৭ জন। তিনি আরো জানান, ৩০ লাখ শহীদদের সনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তবে গেজেটভূক্ত ৫ হাজার ৭৯৫ জন  শহীদের তথ্য রয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, এ তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে মোট ৫ হাজার ৭৯৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। এরমধ্যে শহীদ বেসামরিক গেজেটভুক্ত ২ হাজার ৯২২ জন, স্বশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮, শহীদ বিজিবি ৮৩২ জন এবং শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ শহীদদের সনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জানান, দেশে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুইজন। তবে গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩২২ জন।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরও জানান, ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২৮১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।

সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ৭০ দশমিক ৪৬ একর জমি ও প্রধান কার্যালয়সহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান আছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২৭ দশমিক ১৭ একর, গাজীপুরে ৫ দশমিক ৫৫ একর, নারায়ণগঞ্জে ৪ দশমিক ৬৪ একর এবং চট্টগ্রামে ৩৩ একর জমি রয়েছে।