হাজীগঞ্জে মজনু হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার

খালেকুজ্জামান শামীম

হাজীগঞ্জ পৌরসভার মাইক্রো চালক মজনু (৩০) হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। রোববার বিকালে টোরাগড় মিজি বাড়ীর ডোবা থেকে একটি টর্চ লাইট, দুইটি মোবাইল সেট ও দুইটি চুরি উদ্ধার করা হয়। হাজীগঞ্জ থানা তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, মজনুর ভাবি মাহমুদার দেয়া তথ্যনুযায়ী ভবনের পাশের ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম গুলো উদ্ধার করে জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মজনুর পরিবারের চারজনকে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডের দুইদিনের প্রথম দিনে রোববার বিকালে মাহমুদার দেয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম গুলো জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কয়েকদিন পর ঘটনায় মজনুর ভাই প্রবাসী মফজিুল ইসলামরে স্ত্রী মাহমুদা বেগম, ভাই মন্টু ও তার স্ত্রী শান্তা বেগম এবং মজনুর এক ভাতিজাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে মজনুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মজনু হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওর্য়াড টোরাগড় মিজি বাড়ীর বাসিন্দা। ওই বাড়ীর আনোয়ার হোসেন মিজি বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতো মজনু ও তার পরিবার। মজনুরা আট ভাই। সে পরবিারে সপ্তম সন্তান। মজনুর মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবাকে যে খুন করেছে, আমিও তার খুন চাই। খুনের বদলা খুন চাই।

মামলার বাদীর মজনুর বড় ভাই বলেন, পরিবারের চারজনকে পুলিশ আটক করে। আমরা একজনকে সন্দেহ করেছি। সেটা মাহমুদা। পরে মাহমুদা আমার পরিবারের বাকীদের জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছে। আমরা মাহমুদার দৃষ্ট্রান্তমুলক বিচার চাই।