হাজীগঞ্জে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

তাহের মিসবাহ

রসালো ও মিষ্টিদায়ক পানীয় ও এক সময়ের অর্থকারী ফসল হলো আখ। যা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। যার কারণে বেড়ে যাচ্ছে চিনির দাম। হতাশায় ভুগছে কৃষকগণ।

হাজিগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আখেন বাম্পার ফলন হতো। কৃষকগণ আখ পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে সংসার চালাতো কিন্তু বর্তমানে আখ চাষে লাভের মুখ না দেখায় আখ চাষ করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে কৃষকদের, এমন কথা জানালেন সদর ইউনিয়নের অলিপুরের গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী।

তিনি জানান, আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারগণ আখ কেনার জন্য অলিপুরে আসতো। এখন আর আসছে না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, আখের দাম ও পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় তারা আখ ক্রয় করতে আসে না এবং উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারাও আসছে না। যার কারণে একসময় অলিপুর আখের জন্য বিখ্যাত হলেও বর্তমানে মাত্র কয়েকজন কৃষক আখ চাষ করছেন। যা স্থানীয় চাহিদা মিটাতেও পারছে না।

বাজারে খুচরা আখের দাম চড়া হলেও কৃষকগণ ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবং খরচ মেটাতে না পেরে আখ চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ব্যাপারে হাজিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এ বছর আখের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিলো ১৮ একর জমিতে কিন্তু উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮ একর। এ অবস্থা বিরাজ করলে ভবিষ্যতে দেশে চিনির সঙ্কট আরো বাড়বে।