হাইমচর সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন বাস্তবায়নে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাউল আলম ভূইয়া

জি এম শরীফ মাছুম বিল্লাহ

 

করোনা ভাইরাসের আক্রমনে হতবিহ্বল গোটা বিশ্ব। যার সয়লাভ হয়েছে বাংলাদেশেও। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিরামহীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেজবাউল আলম ভূইয়া।

হাইমচরবাসী কে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার নিমিত্তে প্রায় দেড় মাস ধরে উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া থেকে জালিয়ার চর পর্যন্ত প্রতিটি হাট-বাজার, জনবহুল স্থান ও রাস্তাঘাটে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের অন্যান্য করোনা আক্রান্ত জেলা বা উপজেলা থেকে আগত লোকজনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে রেখে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

জানা যায়, গত ৩০ মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১৩৭ জনকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত, গ্রামে গ্রামে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত, বাজারের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেজবাউল আলম ভূইয়া।

উপজেলার প্রতিটি দোকানের দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও মূল্য তালিকা যাচাই পূর্বক রশিদসহ কেনাকাটা করতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আহ্বান জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতি ও উপজেলা প্রশাসনের চলমান কার্যক্রম নিয়ে হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেজবাউল আলম ভূইয়া

এক সাক্ষাৎকারে বলেন- হাইমচর উপজেলার সর্বস্তরে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত, জীবানু নাশক চিটানো, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সেচ্চাসেবক টীমের তৎপরতায় হাইমচর উপজেলা এখনও করোনা মুক্ত রয়েছে।

২ মে শনিবার করোনা টেস্টের যে ১০ জনের রিপোর্ট এসেছে তাতে সবগুলোই নেগেটিভ পাওয়া গেছে। ৪নং নীল কমল ইউনিয়নে ১২ বছরের যে কিশোরী করোনা আক্রান্ত ছিল সেও সুস্থ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন- আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। মূল্য তালিকা যাচাই পূর্বক রশিদসহ কেনাকাটা করে জনসাধারণের কষ্টার্জিত অর্থ কিছুটা সাশ্রয় হয় তবেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।

তিনি আরও বলেন- করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। হাইমচর উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জনগণের সচেতনতা-ই পারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। কেউবা অযথাই রাস্তায় ঘুরাফেরা করছে।

হোম কোয়ারান্টাইনে না থেকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিনিয়ত করোনা ঝুঁকি বাড়াতে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ছোটাছুটি করছে। একমাত্র জনগণের আন্তরিক সচেতনতা-ই করোনা ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই, সকলকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন হাইমচর উপজেলা প্রশাসন।