বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪

স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার

আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার পতনের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয়েছিল আবারো বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। দিনটি উপলক্ষে বাণি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে দিবসটি।

আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখবেন ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করবেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ ৯ বছরের রক্তস্নাত আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিলো স্বৈরশাসনের। যে স্বৈরশাসক এরশাদ ৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙ্গে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও সামরিক শাসন জারীর মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতি স্তব্ধ করেছিলেন। স্বৈরাচারী এরশাদ একে একে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারাকে করেছিল বাধাগ্রস্ত। দীর্ঘ নয় বছর গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ’৯০ এর ৬ ডিসেম্বর

এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিলো গণতন্ত্র।

গণমাধ্যমে দেয়া বাণিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সব সময়। আমাদের গণতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে তার অগ্রযাত্রায়। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সব বাধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শৃঙ্খলমুক্ত মুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশঃ ফুটে উঠছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আচরণে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একতরফা নির্বাচন করে আবারো সারা জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতাকে করা হয়েছে বিপন্ন। আমাদের গণতন্ত্র আজো নামে-বেনামে একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমণে আক্রান্ত। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরংকুশ করার জন্য আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সে আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে হবে। স্বৈরাচার পতন দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃপ্ত শপথ।