শাহরাস্তিতে কবরের সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

শাহরাস্তিতে কবরের সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মে) দিনগত রাতে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে পুনরায় বুধবার দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে হামলার ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের ভেলার বাড়ির খোরশেদ আলম গংয়ের সাথে একই বাড়ির আবদুল মমিন গংয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকলেও স্থানীয়দের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার পর পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন বিকেলে কবরের সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের বাক বিতন্ডা হয়। ওই বাকবিতন্ডার জেরে রাত ৯টায় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। আহতরা হলেন- মৃত আদম আলীর পুত্র খোরশেদ আলম (৫০), খোরশেদ আলমের পুত্র আবদুল মান্নান (২৮), জামাতা গ্রামখিলা গ্রামের মফিজুল ইসলামের পুত্র সাহেদ (২৬), একই বাড়ির মৃত জিন্নত আলীর পুত্র আবদুল মমিন (৪৫), আবদুল মমিনের পুত্র শামীম (২৫) ও শিমুল (১৮)। আহতদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহতদের ভর্তি দিলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা বাড়িতে ফিরে যান।

পরদিন বুধবার দুপুরে গুরুতর আহত খোরশেদ আলম ও আবদুল মান্নান ডাক্তার দেখাতে আসলে হাসপাতালের ভিতরে প্রতিপক্ষের শামীম ও শিমুল অতর্কিত খোরশেদ আলমের উপর পুনরায় হামলা করেন।

এ বিষয়ে খোরশেদ আলমের পুত্র আবদুল মান্নান জানান, আমাদের মাঝে কবরের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ থাকার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন ওই সমঝোতা না মেনে পুনরায় গত মঙ্গলবার (১২ মে) আমাদের উপর হামলা করে আহত করে। এতে আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায় ও আমার বাবা ও বোন জামাই গুরুতর আহত হয়।

বুধবার দুপুরে হাত ভাঙ্গার রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসলে হাসপাতালের ভিতরের প্রতিপক্ষের শামীম ও শিমুল আমাদের উপর পুনরায় হামলা করে। ওই সময় তারা আমার বাবা খোরশেদ আলমকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদ ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আয়েশা সিদ্দিকা হাসপাতাল চত্ত্বরের ভিতরে হামলার কথা স্বীকার করেন।