ফরিদগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন, ঘাতক আটক

এদিকে বাবা সেলিম খান সৈাদিআরবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।

১৩ মে বুধবার ইফতারের কিছু সময়ে পুর্বে উপজেলার রুপসা দক্ষিন ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া এলাকার পূর্ব খান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘাতক স্বামী আল মামুন মোহন(৩২)কে এলকাবাসি আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে । জামাতা আল মামুনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। নিহত স্ত্রী গৃদৃকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার রিতু (২০)

সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব, এস আই কাজী মো: জাকারিয়া, এ এস আই ইলিয়াস, রবিউল ও পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে মোহনকে আটক করে এবং নিহত তানজিনার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুরে প্রেরন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুই বছর পুর্বে ফরিদগঞ্জের পাশর্^বর্তি রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মৃত মনতাজ মাস্টারের ছেলে আল মামুন মোহনের সঙ্গে গৃদকালিন্দিয়া গ্রামের পূর্ব খান বাড়ির সৌদি প্রবাসি সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয়। ঘাতক স্বামী সৌদি ফেরত বেকার অবস্থায় আছে।
১৩ মে বুধবার বিকালে ঘাতক স্বামী মহন তার নিজ বাড়ি রায়পুর থেকে শ্বশুর বাড়িতে গৃদকালিন্দিয়া আসে। ইফতারের পুর্বে মূর্হূতে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতুর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিতুকে উপর্যুপরি ধারালো ছুরির দিয়ে আঘাত করে এবং মেয়ের আত্মচিৎকারে মা পারভীন আক্তার এগিয়ে আসলে শাশুড়ি ফারভীনকে ও ছুরির আঘাত করে তখন শাশুড়ি ফারভীন রক্তাক্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় ঘাতক স্বামী মহন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশিরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব বলেন, নিহত রিতুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক মোহনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করাহয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রস্তুতি ছলছে।