ফরিদগঞ্জে মোবাইল কোর্ট দিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা: ক্রেতাদের ক্ষোভ

দেশে পেঁয়াজের পর আলু নিয়ে তেলেসমাতি কারবার চলছে খুচরা বাজারে। গত বেশ কয়েকদিন ধরে আলুর বাজারের অস্থিরতায় বাজার নিয়ন্ত্রণে এর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ফরিদগঞ্জ সদর বাজারসহ উপজেলায় প্রায় ২২/২৩টি হাট-বাজারে নিত্য প্রয়োযনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম লাগামহীণ গতিতে বেড়েই চলছে। বাজার ণিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছেনা।

১৮ অক্টোবর রোববার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) শারমিন আক্তার উপজেলা সদর বাজর মণিটরিং এ নেমে কয়েকটি দোকানে জরিমানা করাসহ সর্তকতা জানান দেন। এ সময় তিনি সকলের নিত্য প্রয়োযনীয় আলুর ছড়াও মূল্যে বিক্রির কারণে দুটি দোকাণে জরিমানা ও অতিরিক্ত দামে আলু ক্রয় করা ক্রেতাকে টাকা ফেরৎসহ ১৫ শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাছাড়া পাইকারী প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ৩০ টাকার বেশী রাখা যাবেনা বলে জানিয়ে দেন।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন, ব্যবসায়ীরা মোবাইল কোট শেষ হওয়ার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা শুরু করেছে।

অনেক ব্যবসায়ী আলু বিক্রি করবেনা বলে ক্রেতাদের জানিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা আলু প্রতিকেজি ৩৫/৩৬ টাকা দরে ক্রয় করেছি, এখন কিভাবে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করবো।
সাধারণ ক্রেতার জানায়, আমরা ছড়াও মূল্যে সকল ধরণের শাক- সবজী ক্রয় করতে হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট দেওয়ার পরও আমরা কোন পরিবর্তন দেখছিনা। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বড় ধরণের শক্তিশালী। যার কারণে এরা প্রশাসনকেও তোয়াক্কা করছেনা।

উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার ভেধে, আলু ৪০/৪৫ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা, মূলা ৬০টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩শ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, বেগুণ ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০/৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, দুন্দল ৬০টাকা, জিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, সিম ১০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারও উধর্ব গতিতেই বেড়ে চলছে। প্রতি বস্তা চাল ১/৪শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গো-খাদ্যের জন্য ব্যবহারিত খুদ প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। সব ধরণের পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী ক্রেতা সাধারণ বাজার মণিটরিং জোরদারসহ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে বাজার দর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবী জানান।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে মোবাই কোর্ট অব্যাহত থাকবে। মোবাইল কোর্টের সুফল পাচ্ছেনা ক্রেতা? জবাবে বলেন, প্রয়োজনীনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।