সোমবার , সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২৫
প্রতিকী ছবি

পর্যটনে সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা!

চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা। যেখানে মিলিত হয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া। বড়স্টেশন নামে দর্শণীয় এই স্থানটিকে ঘিরে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত প্রাকৃতিক এই পরিবেশ। এখানে আসা পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা এসব মানুষকে পড়তে হয় দুর্ভোগে। তাই দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য কী ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায়। এরইমধ্যে সেই বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন। যেখানে রয়েছে বিস্তৃত সীমাহীন নদী। তাতে ছুটে চলেছে ছোটবড় নানা আকারের নৌযান। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া। এই তিন নদীর মোহনায় প্রকৃতির সেই অপার সৌন্দর্য। আর তা উপভোগ করতে ছুটে যান অনেকেই।
শুধু মোহনার স্থলভাগে নয়, নদীর নির্মল ও বিশুদ্ধ বাতাসে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। তার সঙ্গে পদ্মা ও মেঘনার সুস্বাদু রূপালি ইলিশের আকর্ষণ তো আছেই। কিন্তু জায়গাটিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে সবকিছুই এলোমেলো। পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি কোনো অবকাঠামো। এতে ভ্রমণ পিপাসু দর্শণার্থীদের চাহিদা অপূর্ণই থেকে যায়। কারণ, দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে বড়স্টেশনের গুরুত্ব থাকলেও তা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি কেউ। তাই পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় জায়গাটিকে আধুনিকায়নের দাবি জানান, বিভিন্নস্থান থেকে ছুটে আসা দর্শণার্থীরা।
তারা বলেন, চাঁদপুর চাঁদের মতোই সুন্দর। এখানে তিন নদীর মোহনার দৃশ্য দেখার মতো। তবে দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের জন্য নেই কোনো সুযোগ সুবিধা। ফলে এখানে আসার পর নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

এদিকে, নদীকেন্দ্রীয় এই পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুর নয়, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া নদীভাঙন থেকে চাঁদপুর শহরকেও রক্ষা করবে। তাই রিভার ড্রাইভ থেকে শুরু করে আধুুনিক ও টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

তিনি বলেন, কেবলমাত্র পর্যটনের জন্য নয়, তার সঙ্গে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে চাঁদপুর শহরকে রক্ষার জন্যও টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শহরটি নিরাপদ থাকতে পারে। তবে সরকার নীতিনির্ধারণী পর্যায় এটি অনুমোদন দিলে আরো কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এই প্রকল্পে থাকবে হোটেল-রিসোর্ট, কর্পোরেট হাউস, শিশু পার্ক, সানসেট ভিউ এবং রিভার ড্রাইভ। তার সঙ্গে সবুজ বনায়ন। এটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা।