সোমবার , অক্টোবর ১৩ ২০২৫

নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই খাদ্য প্রণোদনা পেলেন চাঁদপুরের জেলেরা

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মাছ ধরতে পারছেন না চাঁদপুরের জেলেরা। এ সময় বেকার হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় অর্ধলক্ষ জেলে। তবে সরকারি তালিকাভুক্ত ৪৩ হাজার জেলেকে ইতোমধ্যেই খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে, যা পেয়ে খুশি তারা।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ বিতরণ কার্যক্রম মঙ্গলবারের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

এবারই প্রথমবারের মতো সময়মতো এবং অনিয়ম ছাড়াই খাদ্য সহায়তা পাওয়ায় জেলেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চাঁদপুরের মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলার নদীপাড়ের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে একযোগে চাল বিতরণ চলছে।

এর মধ্যে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদে ৩ হাজার ৭০০ জেলের মধ্যে সরকারি সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিউল হিকমা ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক। সুষ্ঠু পরিবেশে চাল বিতরণ হতে দেখে কর্মকর্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিউল হিকমা বলেন, জেলেদের অভিযোগের সুযোগ যেন না থাকে, সেজন্য ২৫ কেজি করে ২ জন জেলেকে ৫০ কেজির বস্তায় চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বস্তা জেলেদের হাতে সরাসরি তুলে দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, আগে অনেক জেলে অভিযোগ করতেন, তারা পূর্ণ পরিমাণ চাল পান না। এবার প্রতিটি বিতরণ কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলেদের দুর্ভোগ কমাতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি ও এনজিও ব্যুরোকে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের সব অভয়াশ্রম ও সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।