জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে ‘ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের’ মাধ্যমে অবমাননা ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বাদ জুমআ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহরের উদ্যোগে আয়োজিত চাঁদপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর শহর শাখার নায়েবে আমীর ও চাঁদপুর জজকোটের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শেখ ছালেহ বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে অবমাননা করে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া চরম ধৃষ্টতা। ফ্রান্সে রাসূল (সা) এর অবমাননা ও তাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ঘটনায় বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় জনতার ঈমানের দাবির সাথে একাত্বতা প্রদর্শন করে

এবং বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে। একইসাথে ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে সকল মুসলমানকে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও আহ্বান জানান। পাশাপাশি মুসলিম দেশসমূহের প্রতি তিনি ফ্রান্সের প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ ও ফ্রান্সের পণ্য আমদানি না করার আহ্বান জানান।

এডভোকেট শেখ ছালেহের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মাতৃপীঠ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার মোড়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর মজলিশে শূরা সদস্য ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ।

অবিলম্বে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ক্ষমা চাইতে হবে

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রান্স মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রর্দশন করে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের দুইশ’ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে চরম আঘাত করেছে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এই অসভ্য কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় বিশ্বব্যাপী ফ্রান্স ও ম্যাক্রোঁ সরকারকে মুসলিম দেশের শাসকদের বয়কট করা দরকার।

এডভোকেট শেখ ছালেহ বলেন, গত ২১শে অক্টোবর ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় মন্টোপলিস ও ত্বলুস শহরের দুটি সরকারি ভবনে পুলিশি পাহারায় মহানবীর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করে আবারো চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে যা মুসলিম বিশ্বকে চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা) এর অবমাননা করা ফ্রান্সের জন্য নতুন ঘটনা নয়, তারা উসমানী খেলাফতের সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের শাসনামলসহ ধারাবাহিকভাবে তারা এমন ঘৃণ্য অপকর্ম করে চলেছে। তিনি ফ্রান্সের এমন অসভ্য কর্মকান্ড বন্ধ ও এই জঘন্য আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ, ও.আই.সি সহ বিশ্ব সংস্থা গুলোকে উদাত্ত আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।