চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ পুলিশ সদস্যদের মাঝে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিনামূল্যে বিতরন

 

মো.শাহ আলম ভূঁইয়া

প্রানঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস তথা (কোডিট ১৯) আজ বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারন করেছে। এই ভাইরাসের প্রার্দুভাব বাংলাদেশে শুরু হওয়ার পর থেকেই

প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশমতে, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় ও রেজিস্ট্রার মহোদয় ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম এর সার্বিক নিদর্শনায়,

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের বোর্ড সদস্য ডাঃ আতাহার আলীর ঔষধ সহায়তায় চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃক

চাঁদপুর পুলিশ লাইনস এর প্রায় ৭০০ সদস্যদের মাঝে প্রানঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের লক্ষন ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ Arsenic Album 30 (For Immunity Growth) প্রতিষেধক হিসেবে প্রদান করা হয়।

শুক্রবার সকাল ১১ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে চাঁদপুর পুলিশ লাইনস এর ৭০০ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সেট কোয়াটার) আসাদুজ্জামান।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ ডা. তামজীদ হোসেন, “ডাক্তার যাবে আপনার বাড়ি” এর প্রধান চিকিৎসক প্রভাষক ডা. এম এইচ মোহন, ও প্রভাষক ডা. এস জামান পলাশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সেট কোয়াটার) আসাদুজ্জামান বলেন, করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে পুলিশ জীবন বাজি রেখে মানুষের পাশে রয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে অনেক পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে।

ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুর শাহরাস্তির হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ পুলিশের সকল সদস্যদের বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এতে করে পুলিশ সদস্যরা কাজে আগ্রহ বাড়বে, করোনা মোকাবেলায় পুলিশ আরো সচেষ্ট থাকতে পারবে। বর্তমানে এই দুর্যোগময় সময়ে এরা যে মানব সেবায় এগিয়ে এসেছে সত্যিই পুলিশ প্রশাসন সহ সকলেই

শাহরাস্তিস্থ চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক কলেজের সকল শিক্ষকদের এই মহতি উদ্যোগের কথা মনে রাখবে।

ভবিষ্যতে আমরাও আপনাদের যে কোন কাজে পাশে থাকার চেষ্ঠা করবো। চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ ডা. তামজীদ হোসেন

জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30) কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। একটানা তিনদিন খালি পেটে এই ঔষধ সেবন করতে হবে। সেবনের পর যদি ওই এলাকায় ভাইরাসটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ঔষধটি একমাস পর আবার আগের নিয়মে খেতে হবে।

বর্তমানে আমাদের এই ঔষধটি সাধারন সকল মানুষই প্রয়োগ করতে পারবে। এই ঔষধটি এন্টিবডি হিসেবে ভালো কাজ করে। আমরা যত জনের মাঝে এই ঔষধটি প্রয়োগ করেছি এতে ভালো ফলাফল পেয়েছি। তাদের কারো এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত করতে পারেনি। পরিশেষে অধ্যক্ষ করোনা প্রতিরোধী হোমিও ঔষধটি পুলিশ প্রশাসন গ্রহণ করায় কলেজের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।