চাঁদপুরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী মাহবুবুল হকের ইন্তেকাল

চাঁদপুরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লায়ন কাজী মাহাবুবুল হক আর নেই। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীর প্রথম নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ও চাঁদপুর ফুলকুঁড়ি আসরের সাবেক সাংস্কৃতি উপদেষ্টা, রোটারীয়ান লায়ন কাজী মাহবুবুল হক সোমবার রাত ৮ টায় ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্হায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ৫ দফা জানাজা শেষে পিতার কবরের পাশেই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

চাঁদপুর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ১১টায় প্রথম জানাজায় ইমামতি করেন উজানি দরবার শরিফের পীর মাওলানা মাহবুব এলাহি।সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন বড় স্টেশন জামে মসজিদের খতির মাওলানা মুফতি সিরাজুল ইসলাম।

মরহুম কাজী মাহবুবুল হকের জীবনি নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহ্বাজ ওসমান গনি পাটোয়ারী,চাঁদপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী এডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, বি এন পি মনোনিত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি,

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে বি এম হান্নান, লায়ন্স ক্লাব অব লিওর সাকি কাউসার, মরহুমের ছোট ভাই কাজী হুমায়ুন প্রমুখ।পরে মরহুমের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডি ইউনিয়নের কাজী বাড়িতে আরো ৩ টি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে পারিবারিক কবরস্থনে পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, লায়ন কাজী মাহবুবুল হক গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। চাঁদপুরে অসুস্থ হলে ডাক্তারী পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পরেনি। ঢাকায় পরীক্ষা করানো হলে করোনা পজেটিভ আসে।কাজী মাহবুবুল হক অসুস্থ হলে ১১সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে প্রথম ধাপে তাকে ৩ দিন লাইফ সাপোটে রাখা হয়।একটু সুস্থ হলে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। আবারো

আইসিইউতে রাখা হয়।গত ৩ দিন পূর্বে কাজী মাহবুবুল হক আবারো বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে দ্বিতীয় ধাপে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর সোমবার রাত ৮ টায় স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কাজী মাহবুবুল হকের পিতার নাম মরহুম কাজী তাফাজ্জল হোসেন। ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে কাজী মাহবুবুল হক সবার বড় ছিলেন।তিনি ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন