চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা ।। হাজারো মানুষের ভিড় 

পারিবারিক বিষয়ে পরিবারদের সাথে অভিমান করে পংকজ মজুমদার (৫০) নামের এক ল্যাব ব্যবসায়ী ট্রেনে কাটা পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের শ্রী, শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সামনে রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পংকজ মজুমদার চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার পাড়া বগুলা গ্রামের মৃত বিপুতী মজুমদারের ছেলে।
সরজমিনে দেখাযায়, নিহতের দেহ কয়েক টুকরো এবং ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে বিভিন্নস্থানে আলাদা, আলাদা হয়ে পড়ে আছে। এমন মৃত্যুর খবর পেয়ে হাজারো মানুষ তা দেখতে ছায়াবানী হতে মিশন রোড পর্যন্ত রেললাইনে ভিড় জমান। খবর পেয়ে চাঁদপুর জিরআরপি থানার ওসি সরোয়ার আলম সর্ঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুরে পংকজ মজুমদার কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইনের ওপর হেটে হেটে কথা বলছিলেন। এমন সময় চাঁদপুর বড় স্টেশন  থেকে ছেড়ে যাওয়া সাগরিকা ট্রেনের নিচে কাঁটা পড়ে তিনি মারা যান।  আবার কেউ, কেউ বলছেন, তারা দুর থেকে দেখেছেন, সাগরিকা  ট্রেনটি  আসার মুর্হুতে পংকজ মজুমদার পা পিছলে রেলরাইনে পড়ে যান। তিনি সাথে সাথে উঠতে না পারায় ট্রেনের নিচে কাঁটা পড়েন।
খবর নিয়ে জানাযায়, নিহত পংকজ মজুমদার শহরের সিএনজি স্ট্যান মেডিল্যাব ডায়াগনস্টিকের শেয়ারে মালিক পক্ষ ছিলেন এবং নিজে রিসিপসনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তার বড় স্ত্রী চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার দুই মেয়ে।  বড় মেয়ে অহনা কলেজে পড়েন, আর ছোট মেয়ে নিদি খ্রীস্টিয়ান মিশন স্কুলে পড়েন।
 নিহতের শশুড় সুনীল বরণ সরকার জানান, তার জামাতা পংকজ মজুমদারের কলেজে পড়ুয়া বড় মেয়ের সাথে কোন এক যুবকের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক ভাবে কি হয়েছে তা তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমার জামাতে দুপুর সাড়ে ১২ টা ১ টার দিকে আমাকে ফোন করে বলেছেন, বাবা আপনি একটু আমাদের বাসায় আসেন। আমি হাইমচর থেকে চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়া মেয়ের বাসায় আসি। তার কিছুক্ষন পরে পংকজের ট্রেনে কাঁটা পড়ে মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পাই।
স্থানীয় কয়েকজন পাড়া প্রতিবেশীর কাছে জানাযায়, ঘটনার আগে পংকজ বাসা থেকে রাগ করে বেরিয়ে পড়েন। তার কিছুক্ষন পরেই এমন মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর জিরআরপি থানার ওসি সরোয়ার আলম  জানান, আমরা ট্রেনে কাঁটা পড়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি এবং লাশের সাথে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। বাটিকা আইনি পক্রিয়া শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।