আমেরিকান সংগীতশিল্পীর চোখ খুলে গেল ইসলাম ধর্ম গ্রহণে

আমেরিকান সংগীতশিল্পী জেনিফার গ্রাউট যে কিনা দুই বছর আগেও নাস্তিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণেরর পর জানালেন, ইসলাম তার চোখ খুলে দিয়েছে এবং কোরআন সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

আমেরিকান সংগীতশিল্পী জেনিফার গ্রাউট নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এভাবে, ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টার ফলেই আমার চোখ খুলে গেল এবং হঠাৎ করেই আমার ভেতরে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটল। এমনটি আমার জীবনে আর কখনই ঘটেনি। এভাবেই ইসলামের দিকে আমার পথচলা শুরু।

আরব গট ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতায় গান গেয়ে আরব দুনিয়াকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন জেনিফার। একটি আরবি শব্দ না জানা সত্ত্বেও ২৩ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান শিল্পী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় বিশুদ্ধ আরবি ভাষায় গান গেয়ে সেরা তিনে স্থান করে নিয়ে সাড়া ফেলে দেন। পরে আবারো আরব দেশে সংবাদের শিরোনাম হন জেনিফার।

তবে গান গেয়ে নয়, শিরোনাম হন ইসলাম গ্রহণ করে। অথচ আগে তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক নাস্তিক। তার বিশ্বাস ছিল, ধর্ম কোনো উপকারে আসে না, বরং ক্ষতিই করে।

জেনিফার বলেন, “ইসলাম গ্রহণের জন্য আমি মসজিদে যাইনি কোনো ইমামের শরণাপন্ন হইনি এবং কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি। তবে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এবং ইসলামের বিধান মেনে যাকাত দিই। আগামী রমজান মাসে রোজাও রাখব।”

জেনিফার বলেন, “এসব হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি অবশ্যই ইসলাম, কোরআন ও ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।” ক্লাসিক্যাল সংগীতে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন জেনিফার। দুই বছর আগেও নাস্তিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। দেড় বছর আগে মরক্কোর এক সংগীতশিল্পীর প্রেমে পড়েন জেনিফার। এরপরেই বদলে যেতে থাকে জেনিফারের জীবন।

প্রেমিক সম্পর্কে জেনিফার বলেন, “সে খু্বই সাহসী, নাছোড়বান্দা ও হৃদয়বান। এজন্য মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আমি সম্পর্কটা চালিয়ে যেতে চেয়েছি। আমি তার প্রশংসা না করে পারি না। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”

সেই প্রেমিককে বিয়ে করেছেন জেনিফার। স্বামীকে নিয়ে মরক্কোতেই আছেন তিনি। তারা দুজনে নিয়মিত বিভিন্ন পার্টি ও বিয়ে অনুষ্ঠানে আরবি সংগীত গাইছেন। জেনিফার বলেন, “আমি পুরো আরব দুনিয়া জুড়ে আরবি সংগীত পরিবেশন করতে চাই। আমার দেশ আমেরিকাতেও শুনতে চাই আরবি সংগীত।” সূত্র: ওয়েবসাইট