বৃহস্পতিবার , মে ২ ২০২৪

আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‌’আম্পান’

১৬০ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগ অতিক্রম করেছে আমফান। ঘূর্ণিঝড় আমফান স্থলভাগ অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে গেছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূল এবং ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে।পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ঝড়ে একজন মারা গেছেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি দলের সদস্য ছিলেন। একটি খালে যখন যাচ্ছিলেন তখন দমকা হাওয়া নৌকাটি নাড়িয়ে দেয়। তিনি পড়ে যাওয়ার পর গামবুট ও গায়ে ভারি পোশাক থাকার কারণে আর উঠতে পারেননি।

সুন্দরবন লাগোয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঝড়ো দমকা বাতাস বইছে। সাগর বিক্ষুব্ধ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে প্রায় ২৪ লাখ লোক আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাইক্লোনটি যে পথ ধরে অগ্রসর হচ্ছিল, সেখানে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে গাছপালা উপড়ে গেছে, অনেক বাড়ি-ঘর মাটিতে মিশে গেছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আজ বুধবার বিকেল চারটা থেকে এটি সাগর উপকূলের পূর্ব দিকে সুন্দরবন ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দিয়ে অতিক্রম করছে। অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, বিকেল চারটা থেকে রাত আটটার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।

এর আগে ভারতের আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে (ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটা) বলা হচ্ছিল, সাইক্লোন আম্পানের ল্যান্ডফল বা স্থলভাগে আঘাত হানার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়টি তখন পারাদ্বীপের ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছিল। আর দীঘা থেকে এটি ছিল ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। তবে ল্যান্ডফলের পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সময় লাগবে প্র্রায় চারঘন্টা।

আজ সকালে কিছুটা শক্তি হারিয়ে সুপার সাইক্লোন থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে আম্ফান। আবহাওয়াবিদরা বলছে, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে ব্যাপক ধ্বংসলীলা সৃষ্টি হতে পারে। উপগ্রহ চিত্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, বুধবার বিকাল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বুকে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, ভারতীয় উপকূলের দিকে এই ঝড় অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে প্রবল ঝোড়ো বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিও শুরু হয়ে যায়।

ডিএস/এএইচ