রবিবার , নভেম্বর ৩ ২০২৪

 হাজীগঞ্জে চাঁদপুর ব্রিকফিল্ডের বায়নাকৃত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা

হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর ব্রিকফিল্ড নামে ইটভাটার সাথে বায়নাকৃত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি না দিয়ে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাটা মালিক পক্ষকে বার বার হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।
জানা গেছে, এই চাঁদপুর ব্রিকফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মো.মাকসুদুর রহমান। মোহাম্মদপুর  এর এই মৌজায় ইটভাটার কার্যক্রমের শুরুতেই স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন তার বোন   কাছ থেকে  সম্পত্তি ক্রয়  করেন। পরবর্তীতে তার দুই ছেলের  কাছ থেকে সম্পত্তি  ক্রয় করেন এই মো.মাসুদুর রহমান।  ২০১৯সালে ৩৬ শতাংশ সম্পত্তি মো.আলী নোমান এর  সাথে বায়না করা হয়।
কিন্তু বায়নাকৃত সম্পত্তি না দিয়ে মো.মাকসুদুর রহমানকে মারধর করে ফিল্ড ভাংচুর করে। তখন তার  বিরুদ্ধে আদালতে জিআর ১২৬ /২০ মামলা হয়। পরবর্তীতে এলাকার গন্যমান্যদের সমন্বয়ে   তার ভাই ওসমানের সাথে সম্পত্তি বায়না হয়। নোমান ও ওসমান মিলে মোট ৪৫ শতাংশ বায়না করে ।
মো.মাকসুদুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে জয়নাল আবেদীন ও  পরিবারের তিন  ছেলে মো. আলী নোমান,  ওসমান গনি ও ফারুকের  সাথে বিরোধ চলে আসছে।
এ বিষয়ে প্রথমে মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে ও জয়নাল আবেদীনকে বিবাদী করা হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি হামলার ঘটনায় আরো কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে আদালতে।

মাকসুদুর রহমান আরও বলেন, জয়নাল আবেদীন ও তিন  ছেলে একত্রিত হয়ে ইটভাটাকে উচ্ছেদের জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছেন। সম্প্রতি ইটভাটার অন্যান্য কাগজপত্র নেই বলে অপপ্রচার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই জয়নাল আবেদীনের পরিবারের চক্রান্ত থেকে পরিত্রান চাই।  প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি  কামনা করছি।
অপরদিকে জয়নাল আবেদীনের পরিবার ইটভাটায় কাঠ, পোড়া মবিল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা, পরিবেশ দূষণ সহ নানান অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম শেখ তদন্তসাপেক্ষে বলেন, কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে বি এ ডিসি তদন্তে ইরি-বোরো স্কিম কার্যক্রম বন্ধ থাকায়   এবং কৃষকদের কোন ক্ষতিসাধন না হওয়ায়  প্রতিবেদন পাওয়ার পর আপিল শুনানি খারিজ করা হয়েছে । – পেরক রেজাউল করিম