খালেকুজ্জামান শামীম
হাজীগঞ্জ উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় দুজনের মৃত্যু হলো। সোমবার রাতে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর অলিপুর গ্রামে তার মৃত্যু হয়। মৃত বৃদ্ধের নাম মো. শহীদউল্যাহ (৬৫)। তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মীর জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। হাসপাতালের একটি দল মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোসল ও জানাজা শেষে ওই বৃদ্ধকে দাফন করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন উজ্জল জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তির পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী মুসলিম শরিয়াহ অনুযায়ী তার দাফন-কাফন সম্পন্ন করা হয়।
করোনা উপসর্গ নিয়ে যে কোনো লোক মৃত্যুবরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানালে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে রেখা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি মৈশাইদ গ্রামের বাবুল গাজীর স্ত্রী ছিলেন।
হাজীগঞ্জে কোনো উপসর্গ ছাড়াই এক যুবক করোনা
হাজীগঞ্জে কোনো উপসর্গ ছাড়াই আলমগীর হোসেন (৩৮) নামের এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার তার বাড়িটি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আলমগীরসহ উপজেলায় এ পর্যন্ত তিনজন করোনা পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর আগে হাজীগঞ্জে দাফন হওয়া নারী ফাতেমা বেগম করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তিনি চাঁদপুরে বসবাস করতেন। সোমবার বিকালে প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত যুবক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে চলাফেরা করায় তার জনসম্পৃক্ততা ছিল। তাই সন্দেহবশত তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। কিন্তু তার কোনো উপসর্গ ছিল না। সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। কিন্তু তিনি যাদের সাথে চলাফেরা করেছেন, তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি জানান, ওই যুবক হাজীগঞ্জ ও বাকিলা বাজারসহ তার এলাকায় ব্যাপক বিচরণ করেছেন। তাই এলাকার লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।