জানা যায়, বুধবার আসা নমুনার রিপোর্টে ৪জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ বলা হয়েছে। আক্রান্তরা হলো- শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, টামটা উত্তর ইউনিয়নের ঢুশুয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ির ঢাকায় মারা যাওয়া পোষাক শ্রমিক শামছুল আলম (৫৩), রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরনাইয়া গ্রামের গৃহবধূ (৩০) ও তার মেয়ে (১১) আক্তার।
আক্রান্তদের মধ্যে টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ঢুশুয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ির পোশাক কারখানায় কর্মরত মৃত শামছুল আলমও রয়েছেন। তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করার পর রোববার (১৭ মে) সকালে গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়।
পারিবারিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা বলা হলেও এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে এবং এই গ্রামে তাকে দাফন করা যাবে না মর্মে মাইকিং করা হয়। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি সামাজিক দূরত্ব মেনে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করেন।
রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরনাইয়া গ্রামের আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী জানান, ৬ দিন আগে তার স্ত্রী ও ২ মেয়ে ঢাকার মিরপুর হতে এলাকায় আসে। তার স্ত্রীর জ্বর থাকায় পরদিন শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেয়া হলে বুধবার তাদের মধ্যে ২জনের করোনা পজেটিভ বলে জানানো হয়।
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অচিন্ত্য কুমার চক্রবর্তী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতীক সেন অসুস্থতাজনিত কারণে ১০ দিন চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। রোববার কর্মস্থলে ফেরার পর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হলে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ (বুধবার) তিনিসহ ৪জন আক্রান্ত বলে সিভিল সার্জন অফিস হতে পাঠানো রিপোর্টে জানানো হয়। ।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে তার সংস্পর্শে আসা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শাহরাস্তি উপজেলায় পূর্বের ৩জনসহ এ নিয়ে ৭জন করোনা আক্রান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২৫জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১৬টি রিপোর্ট নেগেটিভ ও ২টি অপেক্ষমাণ রয়েছে।