মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদী জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরউমেদের চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান কার্গো ও ট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি তেল পাচার হচ্ছে। এখানকার চিহ্নিত চোরাকারবারিরা জাহাজ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নামিয়ে আনছে। থেমে নেই চোরাচালান। আবারো সক্রিয় নদীর কালোবাজারিরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরউমেদ এলাকায় চোরাকারবারিদের নিরাপদ আস্তানা। দিন-রাত তারা এসব স্থানে অবস্থান করে চোরাই পণ্য কেনার জন্যে টাকা জোগাড় করে। যার কাজ নৌকা-ট্রলার নিয়ে নদীতে নেমে পড়া এবং নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলকে ফাঁকি দিয়ে পণ্য নামিয়ে এনে নদী থেকেই বিভিন্ন মোকামে চালান করে দেয়া
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে চোরাই জ্বালানি তেলের কারবার করে আসছে। চোরাকারবারী ব্যবসা এখন তুঙ্গে। তার নেতৃত্বে জিয়া সরকার, কবির সরকারসহ ১০-১৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র চোরাই জ্বালানি তেলের ব্যবসা গড়ে তুলেছে। ওই চক্রটি গভীর রাতে জ্বালানি তেলের ট্যাংকার থেকে অবৈধভাবে তেল কিনে এবং পরে সেগুলো আশপাশের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। তারা জাহাজের ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সয়াবিন, চিনি, সারসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। প্রতিদিনই নদীতে চলাচলরত কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকার থেকে এসব পণ্য পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী নামিয়ে এনে চিহ্নিত কয়েকজনের কাছে বিক্রি করছে।
চাঁদপুর কোস্টগার্ড এবি ইমরান জানান, বর্তমানে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে আমাদের কোন চেক পোস্ট নেই। চোরাকারবারীদের রুখতে কোস্টগার্ড বদ্ধপরিকর।
মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহির জানান, নৌযান কার্গো ও ট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি তেল পাচার হচ্ছে চরউমেদে আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।