চাঁদপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে এর মধ্যে ১৭ জনের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়া হয়েছে।, ৭টি বাতিল ও ১৮টি নামঞ্জর করে আদালত।
সেই অধ্যাদেশের পর তৃতীয় দিন বুধবার ১৩ মে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সরওয়ার আলম এর আদালতে ভার্চুয়ালে ১১টি জামিনের আবেদন শুনানি করা হয়। এর মধ্যে ৭টির জামিন মঞ্জুর ও ৪টি না মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে চীফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শফিউল আজম এর আদালতে ৩১টি মামলার শুনানি করা হয়। এর মধ্যে ১০টির জামিন মঞ্জুর, ৭টি বাতিল ও ১৪টি জামিন না মঞ্জুর করেন।
আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারকাজ চালানোর বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি করতে গত ১০ মে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার নির্দেশনা আসলে অনেকই তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে অধিক জ্ঞান না থাকায় চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান কার্যকরি কমিটির উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত আকারে একাধিকভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ভার্চুয়াল সম্পর্কে তাৎক্ষনিক আইনজীবীগণ ধারনা পাওয়ার পরেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচার কার্যে সংযুক্ত হন।
প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য (আইটি অভিজ্ঞ) অ্যাড. এইচ এম হেলাল। প্রশিক্ষণে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহীম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক বদরুল আলম চৌধুরীসহ প্রবীন ও নবীন আইনজীবীগণ অংশগ্রহন করেন।