শুক্রবার , মার্চ ২৮ ২০২৫
সীরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন পরিষদের মাহফিল

বাংলার জমিনে কুরআন চলবে, যারা বিরোধিতা করবে তারাই স্তব্ধ হয়ে যাবে – আওলাদে রাসূল ছাইয়্যেদ মোঃ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী

সীরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন পরিষদের মাহফিল
বাংলার জমিনে কুরআন চলবে, যারা বিরোধিতা করবে তারাই স্তব্ধ হয়ে যাবে
—————আওলাদে রাসূল আনোয়ার হোসাইন আল-মাদানী
আদনান আল মুরাদ:
চাঁদপুরে সীরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন পরিষদ ও যুব সমাজের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আওলাদে রাসূল ছাইয়্যেদ মোঃ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী। খতিব, শাহী জামে মসজিদ, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, ১৭ বছর আমরা মূর্দা ছিলাম, আমাদের মূর্দা করো রাখা হয়েছে। এখন আমাদের জবান খুলেছে। এখন আর মূর্দা থাকার সুযোগ নেই। আওয়াজ দীয়ে দীনের প্রচার করতে হবে। এতোদিন গানের কনসার্টের অনুমতি নিতে না হলেও দীনের মাহফিলের জন্য অনুমতি নিতে হয়েছে। পারমিশন দাতারা এখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছে। যারা এই ১৭ বছর রাসূলের শানের অমর্যাদা করেছেন, দ্বীনের দায়ীদের শানের অমর্যাদা করেছেন তাদের বিচার এই বাংলার জমিনে হবে।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামপুর গাছতলা দরবার শরীফের পীর আল্লামা খাজা মোঃ অলি উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা শায়েখ মোল্লা নাজিম উদ্দীন, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন চাদপুরী, দারুসসালাম জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক ছোহাইল আহমেদ চিশতি।
আলোচনা রাখেন সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং চাঁদপুর দিগন্তের সম্পাদক ও প্রকাশক এডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, মাওলানা আফছার উদ্দিন মিয়াজী। সদস্য সচিব শেখ বেলায়েত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখছেন সীরাতুন্নবী সাঃ উদযাপন পরিষদ এন্তেজামেয়া কমিটির আহবায়ক এডভোকেট মোঃ শাহজাহান খান। মাহফিলে ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করেন ঐতিহ্যবাহী হিলশা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ ও মোহনা শিল্পগোষ্ঠী চাঁদপুর।
প্রধান অতিথি বিগত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিনা অস্ত্রে শুধুমাত্র আল্লাহু আকবার এর শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ইউনিভার্সিটির যুবকরা তাদেরকে চুরমার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কুরআনের শাসন চায়, অন্যকোন শাসন এ দেশে শান্তি দিতে পারি নাই। তাই এ দেশে ইসলামী শাসন অপরিহার্য।
রক্তিম চক্ষুকে আমরা ১৭ বছর ভয় করি নাই। ভবিষ্যতেও কোন চোখ রাঙ্গানি কে ভয় করবো না। প্রয়োজনে ফাঁসির মঞ্চেও যেতে প্রস্তুত। বাংলার মানুষের কুরআন শুনতে ভালো লাগে, সীরাত শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু একজনের ১৭ বছর ভালো লাগেনি। তিনি আবার পালিয়ে যাওয়ার সময় নিজেকে ধোঁয়া তুলসীপাতা দাবি করেছেন। অথচ তিনি হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন। বাংলার জমিনে কুরআন চলবে, যারা এর বিরোধিতা করবে তারাই স্তব্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, রাসুল সঃ এর বড় সিরাত তিনি সত্যবাদি ছিলেন। বাংলার জমিনে ১ ঘন্টা মিথ্যা বলা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ জান্নাত এর মতো হয়ে যাবে। বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে তাদের কার্যক্রম এর প্রশংসা করবেন। এ দেশ চলবে আল কুরআনের আইন অনুযায়ী। আল কুরআন হবে এ দেশের সংবিধান। আহলে হাদীসকে বেয়াদব আখ্যায়িত করে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন এ দেশের মানুষ বেয়াদব কে ছাড় দিবেন না। রাসুল সা এর আদর্শ অনুস্মরণেই রয়েছে মানব জাতির প্রকৃত শান্তি ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশে রাসুলের আদর্শ অনুস্মরণে কল্যান রাস্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।