মুজিবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৬ হাজার ১’শ ৮৯টি পরিবারকে ভূমি ও একক গৃহ প্রদান এবং ৩ হাজার ৭’শ ১৫টি পরিবারকে জমিসহ পূনর্বাসন করেন। এসময় চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলার ৭টি উপজেলায় ১’শ ৬০টি ঘর পেলেও এই প্রকল্পে ফরিদগঞ্জে উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন একটি পরিবারও ঘর এবং জমি পায়নি।
এইদিকে ঘর ও ভূমি দিতে না পারলেও সারাদেশের ন্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীন প্রকল্পের উদ্ধোধন অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানে ছিলেন না উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কোন অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারের লোকজন। এই নিয়ে উপজেলার সর্বমহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ফরিদগঞ্জে গৃহ ও ভূমিহীন বহু পরিবার থাকলেও কেহই কেন পায়নি
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গৃহ ও ভূমি এমন প্রশ্ন সুুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে ১, ৭ ও ৮নং ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে প্রায় সকল জমি হিন্দুদের ছিলো। কিছু লোক বিক্রয় করে চলে গেছে আর কিছু লোকজন জমি রেখে চলে গেলেও এই সকল রেখে যাওয়া জমি স্থানীয় লোকজন কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে নিজের নামে অন্তর্ভূক্ত করে রেখেছে। প্রশাসন চাইলে এই সকল জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের কাছে হস্থান্তর করতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মুজিববর্ষের উপহার গৃহহীন প্রকল্পের ঘর নির্মান করে দিতে পারে।
গৃহ ও ভূমি না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান,
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নিষ্কন্টক খাস জমি না পাওয়ায় এবং উপজেলার অধিকাংশ এলাকা নিন্মাঞ্চল, ঘর করার উপযোগী ভূমি না পাওয়ায় ১ম পর্যায়ে কাউকে ঘর ও ভূমি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বলেন উপজেলার কোথায় খাস জমি রয়েছে, দেখিয়ে দিতে পারেন তাহলে ২য় পর্যায়ে ঘর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারনে গৃহ ও ভূমির আমি অবগত নই। আমি এডিবির থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে অসহায় মানুষকে ঘর দেওয়ার কথা বলেছি। আজ প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের উপজেলায় পায়নি তাতে কি হয়েছে, আগামীতে পাবে। আমি তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।
উল্ল্যেখ্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা খাস জমি লিজ দিয়ে রেখেছে খাস মহল এবং কিছু খাস জায়গা ভূমি দশ্যুরা নিজ নামে রেকর্ড করে রেখেছে।