ফরিদগঞ্জে মারিয়া আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের খাড়খাদিয়া গ্রামের বেপারি বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মারিয়ার মামা মাহবুব আলম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। স্বামীর বড়িতে বসতঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে মারিয়া। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সকদী গ্রামের বকশী মিজি বাড়ীর মহরম আলীর মেয়ে মারিয়া আক্তার একই উপজেলার সাহেববাজার এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম শুভ নামে পিক-আপ ভ্যান চালক যুবকের সাথে প্রেমের সূত্র ধরে চলতি বছরের ২৬ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এরপর থেকে শুভ তার স্ত্রীকে নিয়ে তার নানার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের খাড়খাদিয়া গ্রামের বেপারি বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সোমবার রাতের যেকোনো সময় মারিয়া বসতঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্বামীর পরিবারের লোকজন ধারনা করছেন,বিয়ের পর থেকেই মারিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ ছিলো না। হয়তো এ কারনে ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করে। মারিয়া এ বছর চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছিল।
এই ব্যাপারে মারিয়ার স্বামী সাইফুল ইসলাম শুভ জানায়, সে সোমবার রাতে পিক-আপ ভাড়া নিয়ে কুমিল্লা গিয়েছিল, মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি ফিরে দেখতে পায় ঘরের দরজা খোলা এবং মারিয়ার মৃতদেহ ঘরের লড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সাইফুল ইসলামের চিৎকার শুনে আসে পাশের লোকজন এসে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আশে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মো:জাকারিয়া জানান, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মারিয়ার মামা মাহবুব আলম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি।