সরকারি হিসেবেই মৃতের সংখ্যা অর্ধশত হয়েছে। আক্রান্ত প্রতিদিন বাড়ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে। মৃতের সারিতে যোগ হয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নারী শিশু বৃদ্ধ। তারপরও মানুষের মধ্যে যেন হঁশ নেই । তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন বাজারে যাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, প্রশাসনের নির্দেশনা মানছেন না।
চাঁদপুর জেলায় ১৬ এপ্রিল ২০২০ আরো ৪জন মারা গেছেন। /…আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন। সারাদেশ থেকে এমন খবর আসছে প্রতিদিন। কি শহর কি গ্রাম সবখানে একই অবস্থা। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে তাদের অজুহাতের শেষ নেই। এই কাজ , সেই কাজ আসলে নেই কাজ।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা থেকে রক্ষা এবং প্রতিকারের একমাত্র পথ ঘরে বসে থাকা এবং জনসমাগম থেকে দূরে থাকা। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে একের পর এক এলাকা লকডাউন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি কিন্তু কে শোনে কার কথা কিছু মানুষ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘরে বসে থাকলেও বিকাল হলে আর থাকছে না তারা রাস্তায় বের হচ্ছে জনসমাগম অর্থাৎ বাজারের দিকে যাচ্ছে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে যেখানে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
বিশেষ করে যুবক সমাজের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। যেহেতু করোনা ভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ তাই দূরে থাকাটাই উত্তম প্রতিকার কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ঘরে বসে থাকাটা একেবারে স্বভাবের সাথে যায় না। কি শহর কি গ্রাম সবখানেই একই অবস্থা। ঢাকা শহরের বস্তি এলাকা থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকার সবাই ঘরের বাইরে বেরুচ্ছেন নানা অজুহাতে এর কারণে যা হবার তাই হচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা প্রথমে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। যারা বের হচ্ছেন তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন , এরপরও কথা না শুনলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপরও কি হচ্ছে? দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলে চায়ের দোকানে আড্ডা জমছে বাজারে সমাগম হচ্ছে লকডাউন ও চলছে লকডাউন ভাঙ্গা হচ্ছে ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলায় ১৬ এপ্রিল ২০২০ আরো ৪জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, ১জন নিজ বাড়িতে ও অপরজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ বছর বয়সী সিএনজি অটোরিক্সার চালক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ৫ বছর বয়সী শিশু কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে, ৩০ বছরের যুবক নিজ বাড়িতে এবং ৩০ বছর বয়সী আরেক যুবক হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৪১ জন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭২ জনে।