বুধবার , অক্টোবর ৯ ২০২৪
জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম

জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা
দুর্গোৎসব সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন
—–পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেছেন, জেলার দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। এতে পুলিশের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগীতা করবেন।
গতকাল সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটওয়ারী চাঁদপুরে দুর্গোৎসব উপলক্ষে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, প্রশাসনকে সচেষ্ট থাকার জন্য পুলিশ সুপারকে আনুরোধ করেন। এতে পুলিশের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকগণ সহযোগীতা করবেন বলেও তিনি জানান। তিনি সবাইকে সব ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন করার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী এডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, শহর আমির এডভোকেট শাহাজান খান, সদর আমীর নাছির উদ্দিন, সেক্রেটারী মাও: আফসার মিয়াজী।
জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে যদি এ ধরনের অপকর্ম বন্ধ করা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। জামায়াতে ইসলাম ৫ আগস্টের পর দেশের ক্রান্তিকালে চাঁদাবাজ, অন্যায়, অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সর্বদা অটল ছিল। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে কারাগার ও মন্দীর পাহারাসহ দেশের কল্যাণে সর্বদা নিয়োজিত ছিল। জেলা কমিউনিটি পুলিশকে একদলীয়করণ থেকে বের করে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহবান জানান। জামায়াতে ইসলামী চাঁদাবাজি প্রশ্রয় দেয় না। জামায়াতে ইসলামীতে চাঁদাবাজের কোন স্থান নেই এবং অতীতেও ছিল না সেই বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, কিশোর গ্যাং দেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারাই জড়িত থাকবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্যেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন ভাবেই অপরারাধীদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান। জেলা পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগীতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবেন।