বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে, যুদ্ধ বিরতি প্রত্যাখ্যান করে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে। আমরা আহ্বান জানাবো মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি, জাতিসংঘের প্রতি অবিলম্বে এ হামলা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি সরকারকে বলব, আপনারা রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে এর সর্বোচ্চ প্রতিবাদ জানানো।
তিনি বলেন, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস। কিন্তু বিগত সাড়ে ১৫ বছর ইসলাম বিদ্বেষী সরকার তাকওয়ার পরিবেশ দিতে পারেনি। বিগত সরকার শিক্ষা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ইসলাম বিমুখ করতে চেয়েছে। আমরা এখন নতুন পরিবেশ পেয়েছি। আমাদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠন করা।
আমরা চাইনা বাংলাদেশ আর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হোক। আমরা চাই ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাজনীতি। রাজনীতিবিদদের সততা, ন্যায় পরায়ণতা ও জনগণের চিন্তাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সলিম উল্লাহ সেলিম। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,ডাক্তার, আইনজীবী, আলেম ওলামা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গনঅধিকার পরিষদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি কাজী রাসেল, হেফাজতে ইসলাম চাঁদপুর জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী, প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা, ইসলামী আন্দোলনের নেতা ইয়াছিন আরাফাত, গণফোরামের সভাপতি এড সেলিম আকবর, খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি মাহমদ উল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট মাসুদুল ইসলামী বুলবুল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, বিগত ১৫ বছর সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আমরা আমাদের শীর্ষ নেতাদের হারিয়েছি।তারপরও ক্ষণিকের জন্যেও ফ্যাসিস্টের সাথে আপোষ করিনি। আমরা মনে করি, আমাদের নতুন সংগ্রাম হবে এই বাংলাদেশকে গড়তে হলে ঐ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করা।
আমরা চাইনা এমন কোন রাজনৈতিক দল আর ক্ষমতায় আসুক যারা জনগণকে শোষণ করবে, যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করবে। আমরা মনে করি, আমাদের দেশের সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। আসুন রমজান মাসের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে ইসলামের আলোকে, সততার সাথে কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলি।