চাঁদপুর জেলায় বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নে একযোগে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ক্যাম্পেইন, ১ম ডোজ পরীক্ষামূলক গণটিকা কর্মসূচির ৫৭ হাজার ৫শ ৭৪ জন মানুষ করোনার (ভ্যাকসিন) টিকা গ্রহন করেছেন।
গতকাল ৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন পৌরসভা, সদর উপজেলা ও বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এই গনটিকা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভ্যাক্সিন ১ম ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা চাঁদপুর সদর পুরুষ-৪,৭২১, মহিলা-৩,৫৮৯ মোট ৮৩১০জন। হাইমচর উপজেলায় পুরুষ- ১,৫৯৮, মহিলা-১,৬৬৮ মোট ৩২৬৬জন। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুরুষ- ৫৪৭৮, মহিলা- ৪,১২২ মোট ৯,৬০০জন। হাজীগঞ্জ উপজেলায় পুরুষ- ২,৮৯৬ মহিলা- ৩,০০২ মোট ৫৮৯৮জন। শাহরাস্তি উপজেলায় পুরুষ- ৩,০০৫, মহিলা- ২,৯৮৯ মোট ৫,৯৯৪জন। কচুয়া উপজেলায় পুরুষ- ৩০০৫, মহিলা- ২,৯৯৫ মোট ৬০০০জন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পুরুষ- ২,৭৬২, মহিলা- ২,০৭৮ মোট ৪,৮০০জন। মতলব উত্তর উপজেলায় পুরুষ- ৪,৬৮০,মহিলা- ৪,৩২০ মোট ৯,০০০জন। চাঁদপুর পৌরসভা পুরুষ- ১,১৯৩, মহিলা- ১,২০৭ মোট ২,৪০০জন। হাজী পৌরসভা পুরুষ- ১,২৫০, মহিল- ১০৫৬ মোট ২,৩০৬জন। জেলায় ভ্যাক্সিন ১ম ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা মোট পুরুষ-৩০,৫৫২, মহিলা- ২৭,০২২ মোট ৫৭, ৫৭৮জন।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ডে ১টি করে কেন্দ্রের মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রত্যেক কেন্দ্রে আলাদা, আলাদা ভাবে ২০০ করে সর্বমোট ৩ হাজার লোককে করোনার টিকা প্রদান করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর সদরে এবং বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একটি করে কেন্দ্রে তিনটি বুথের মাধ্যমে ২০০ জন করে টিকা প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ ইছারুহুল্লাহ জানান ৭ আগস্ট সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে গণটিকা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা টিকা গ্রহীতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি তাই এখন স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত মতে ১৪ দিন পর থেকে রেগুলার করার চিন্তা রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো: সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সারা জেলায় জনগণের অংশগ্রহণে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে। কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। আজকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে আরো ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া সহজতর হবে।
–স্টাফ রিপোর্টার