করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্তায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ও ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধার করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং কিশোরীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদৌলা রুবেল জানান, এই দুইজনের মধ্যে বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম আসমাকে গত মঙ্গলবার এবং শিশু শারমিন আক্তারকে বুধবার রাতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিলো। তাদের দুজনের সর্দি-জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল।
ডা. রুবেল আরো বলেন, ‘মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে মৃতদের দাফন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনো ১৪ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ নিয়ে চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একজন চিকিৎসক, তিন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১২ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার করোনা উপসর্গ নিয়ে একই উপজেলার নয়ারহাট গ্রামের বৃদ্ধা আনোয়ার বেগম আসমা (৭০) আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে মৃত্যুবরণ করেন। ভর্তি হওয়ার পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা রিপোর্ট আসার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. কামরুল হাসান।
এদিকে চাঁদপুরের পুলিশ ও চিকিৎসকসহ নমুনা পাঠানো ১০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তারা কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল দুপুর ১০টি রিপোর্ট আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
গত পরশুদিন একটি রিপোর্ট এর পুনরায় যাচাই করে তা ফোনে জানিয়েছেন কিন্তু রিপোর্ট পাঠায়নি। আজকে পর্যন্ত ১৭৬ টি রিপোর্ট এসেছে। বাকি আছে ৫৭ টি।-এস.এম ইকবাল