বুধবার , অক্টোবর ৯ ২০২৪

চাঁদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে৭৮টি গাড়ি জব্দ, ৭১ জনকে অর্থদণ্ড

চাঁদপুর দিগন্ত রিপোর্ট

চাঁদপুর জেলা শহরসহ অন্যান্য উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের তৃতীয় দিনেও ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ সোচ্চার ছিলো।

লকডাউন অমান্য করায় ৭৮ টি গাড়ি জব্দ ।  মোট ৭১ জনকে ৬৯ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা দ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল ১২ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক এসব অভিযান পরিচালিত হয়। চাঁদপুর শহরে দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক ও মঞ্জুরুল মোর্শেদ।

এদিকে এএসপি চাঁদপুর সদর সার্কেল জাহিদ পারভেজ চৌধুরী নেতৃত্বে পুলিশি অভিযানে ৭৮টি যানবাহন আটক করা হয়। লকডাউন অমান্য করায় তিন ব্যবসায়ীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দিনভর ক্যাপ্টেন সায়েমের নেতৃত্বে ১০সদস্যের একটি টিম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট সামিউল ইসলাম শহরে শতর্কতামুলক অভিযান চালান।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান খানের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

এবং এনডিসি মেহেদী হাসান মানিক ও সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোর্শেদসহ ৪০ জন ভলেন্টিয়ার, চাঁদপুর মডেল থানার কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ, আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

অভিযানটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে, বিটি রোড, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে, ওয়্যারলেস মোড় ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এনডিসি মেহেদী হাসান মানিক। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৪ মামলায় ৫ হাজার ৮শ’ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

অপরদিকে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোর্শেদ পৌরসভার সামনের মার্কেট, স্ট্র্যান্ড রোড ও কাঠ ব্যবসায়ী ১৫ জনকে ৫ হাজার ৬শ’ টাকা সতর্কমূলক অর্থদণ্ড করা হয়।

এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলায় ইউএনও, এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসব মোবাইল কোর্টে ৭১ জনকে ৬৯ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও চাঁদপুরবাসীর সুরক্ষায় প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় লকডাউন অমান্য করে বিভিন্ন মার্কেটে দোকানিরা দোকান খোলা রেখে বেচা বিক্রি করলে তাদের হুশিয়ার করে দেন। চাঁদপুর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, মিশিন রোড, কালিবাড়ি মোড়, পালবাজার এলাকায় অযথা ঘুরাঘুরি করার কারণে সাধারণকে শতর্ক করে দেয়া হয়। পুরান বাজারে শতর্কতামুলক অভিযানে গেলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পেয়ে একটি বেকারিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।