ইলিয়াছ পাটওয়ারী
চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন। এর মধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে নমুনা প্রেরণকৃতদের মধ্য থেকে কচুয়ার একজনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ১৪ মে, দুপুরে চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া মতলব আইসিডিডিআরিবি হাসপাতালের একজন ডাক্তার, ডাক্তারের আড়াই বছর বয়সী সন্তান ও হাসপাাতালের একজনের স্টাফের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে। তারা আইসিডিডিআরবি ঢাকা কেন্দ্রে নমুনা পাঠিয়েছিলেন। তবে তারা মতলবে কর্মরত থাকায় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের পরিসংখ্যান চাঁদপুর জেলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
চাঁদপুর জেলায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২/১দিন নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও পরের দিন তা পুষিয়ে দেয়া হয়। গত সোমবার ও মঙ্গলবার ২৪টি রিপোর্ট আসে। সেখানে কোনো পজিটিভ রিপোর্ট ছিলো না।
গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৩০ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে একজনের পজিটিভ এবং বাদবাকি ২৯ জনের নেগেটিভ আসে। পজিটিভ একজন হচ্ছেন কচুয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া।
জানা গেছে, ইতিপূর্বে কচুয়ার যে একজন সিনিয়র নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই ওই সিনিয়র নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। তখন ওই হাসপাতালের ১৩ জন স্টাফের স্যাম্পল নেয়া হয়েছিলো। সে ১৩ জনের রিপোর্ট আসে গতকাল। তার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ওই আয়ার।
এছাড়া মতলব আইসিডিডিআরবির একজন চিকিৎসকসহ তিনজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাদের স্যাম্পল নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা পাঠানো হয়। তাই চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এর হিসেব নেই।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে মোট ৯৪৩ জনের। এর মধ্যে ৮৫১ জনের রিপোর্ট আসে। আর বাদবাকি ৯২ জনের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় আছে।