শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

কমছে সাধারণ মানুষের আয়-উপার্জন, বন্ধ হয়েছে সামাজিক সাহায্য-সহযোগিতা, গুমড়ে কাঁদছে বহু পরিবার

চাঁদপুর দিগন্ত রিপোর্ট

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উঠানোর সাথে সাথে চাঁদপুরে কমছে সাধারণ মানুষের কার্জ কর্ম ও আয় উপার্জন। একই সাথে বন্ধ হয়েছে গরীব অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের প্রতি সামাজিক সাহায্য সহযোগিতা।

এজন্য কর্মহীন এবং অর্থহীন হয়ে পড়ে গুমড়ে কাঁদছে বহু নিন্ম ,মধ্যবিত্ত পরিবার। দেখা গেছে যেদিন থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপর পর থেকে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ করতে সারা বাংলাদেশের সাথে চাঁদপুরকেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়। সেই থেকে কয়েক মাস ধরে চাঁদপুরে চলে অনির্দিষ্ট কালের লকডাউন।

আর এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে গরীব, অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন সামাজিক সংঠন সহ বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গরা। কেউ কেউ নিজেদের মানবতার ফেরিওয়ালা আখ্যায়িত করেও অনেককে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তখন প্রথম কয়েক সপ্তাহ অসহায়দের প্রতি খাদ্য সহায়তার এমন হিড়িক পড়লেও ধীরে ধীরে তা একেবারেই কমে আসে।

লকডাউনের প্রথম দিকে মানুষ সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার তেমন একটা উপযুক্ত অসহায় হননি। কিন্তু তবুও ছিলো লোক দেখানো কিংবা বাহ বাহ পাওয়ার বহু সামাজ সেবক ও নানা সংগঠন। এসব বিষয় নিয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেকে পোস্ট দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষ যখন প্রকৃত পক্ষে খাদ্য সহযোগিতা পাওয়ার উপযুক্ত হবে তখন হয়তো কোন সমাজ সেবক কিংবা কোন সংগঠন খাদ্য সহায়তা দেয়ার থাকবেনা। বর্তমানে যেনো মানুষের সেই মন্তব্যই সত্যি হলো। এখন দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী চাঁদপুরে তেমন কাউকেই অসহায় সাধারণ মানুষকে খাদ্য সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি।

দেশে দিন দিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে চাঁদপুরে এর সংক্রমন বেড়ে চলছে। এতে অনেকে মৃত্যুবরণও করছেন। প্রতিদিনই চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা তার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর কমবেশি খবর পাওয়া যায়। আর করোনার এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে যাচাই করে দেখা গেছে চাঁদপুরে লকডাউন বহাল না থাকলেও কমেছে বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের কাজ কর্ম এবং আয় উপার্জন।

লকডাউন বহাল না থাকাতে বিত্তবান কিংবা বিভিন্ন সংগঠন মনে করছেন এখন হয়তোবা সাধারণ মানুষের কোন অভাব অনটন নেই। তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা। কিন্তু অনেক অসহায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিন্মবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো তেমন ভালো নেই। আগের মতো তেমন ব্যবসা, বানিজ্য সহ তেমন কোন কাজকর্ম নেই। তাই সংসার হাল টানতে বহু কষ্ট হয় তাদের। একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, লকডাউনে তবু আমরা মোটামুটি ভালো ছিলাম। কারন তখন কাজকর্ম না থাকলেও বিভিন্নজনে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। কিন্তু লকডাউন না থাকলেও আমাদের তেমন কাজকর্ম নেই, নেই কোন আয় উপার্জন। লকডাউন না থাকায় এখন আর কেউ সাহায্য সহযোগিতাও করছেনা। তাই আমরা খুবই বিপদে আছি। জানিনা আল্লাহপাক ভাগ্যে কি রেখেছেন।

দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা সামাজিক সংগঠন এবং বিত্তবানদের কাছে লকডাউনের সময়ের মতো খাদ্য সহায়তা কামনা করছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার গুলো। এসব ন্মিবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষের প্রতি খাদ্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো এমনটাই প্রত্যাশা।
ক্যাপশন ঃ লকডাউন শীতিল হওয়ার সাথে সাথে চাঁদপুরের কোথাও এখন আর এমন খাদ্য সহায়তা দেয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি।