করোনাকালে নারী নেতৃত্ব ’’গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব ” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে ৮ ই মার্চ–২০২১ ইং সোমবার সকাল ১১.৩০ সময় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনকল্পে উদ্দীপন চাঁদপুর পশ্চিম অঞ্চলের আয়োজনে র্যালী , আলোচনা সভা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার (রচনা ও চিত্রাঙ্কন) আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পশ্চিম অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জনাব মোঃ রিয়াজ উদ্দীন, কৈশোর কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জহুরুল হক এবং উদ্দীপনের সদর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ উজ্জল হোসেন,হিসাবরক্ষক বিথি চৌধুরী,মনির হোসেন,
এফসিও জান্নাত ফেরদৌস সহ উদ্দীপনের বিভিন্ন সংগঠনের নারী সদস্য–৪০ জন ও ৪ টি কিশোরী ক্লাবের ৭৫ (পচাত্তর) জন নারী সদস্যসহ মোট ১২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। র্যালী শেষে চাঁদপুর পশ্চিম অঞ্চলে আঞ্চলিক কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদ্দীপন চাঁদপুর পশ্চিম অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জনাব মোঃ রিয়াজ উদ্দীন,আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বলেন–এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা।
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হল। এর পর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়, ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে RvwZ msN আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এর পর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে। সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জহুরুল হক,আর ও বক্তব্য রাখেন নারী সদস্য ও ৪টি ক্লাবের সভানেত্রী ফাতেমা,সুমাইয়া,আকলিমা,রিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়, এবং সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।