সোমবার , এপ্রিল ২৮ ২০২৫

ঈদ উপলক্ষে জমজমাট চাঁদপুরের বিপনী বিতান

আদনান মুরাদ

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে জমজমাট হয়ে উঠছে চাঁদপুরের বিপনী বিতানগুলো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। মার্কেটে মার্কেটে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরছেন অনেকেই। 

ঈদ কাছে চলে আসায় সব শ্রেণীপেশার মানুষ ছুটছেন চাঁদপুরের বিপনী বিতানগুলোতে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করতে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা তৈরি পোশাকের প্রতিই বেশি ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। নারী, পুরুষ, শিশুসহ সকল বয়সীরা এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শহরের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বিভিন্ন বিপণি-বিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদের বাকী দুই সাপ্তাহ এখন থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক টেইলার্স মালিকরা।

চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে ঈদবাজার করতে আসা আয়শা আলম  জানান, এবার রোজার দুই সপ্তাহ শেষে শপিং করতে এসেছি। চলতি সপ্তাহে নিজের ও আত্মীয়স্বজনের জন্য শপিং শেষ করতে চাই। কারণ শেষদিকে অনেক ভিড় হয়।

মীর শপিং কমপ্লেক্সে ঈদবাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা সুমন খান জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু কি আর করার আছে। ঈদে কিছু কেনাকাটা করা দরকার, তাই মার্কেটে এসেছি।

হাকিম প্লাজার জনৈক বিক্রেতা  জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিত্য-নতুন ডিজাইনের মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, টাঙ্গাইল প্রিন্ট, জামদানি ও কাতান শাড়িসহ থ্রি-পিস, লং-থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা, ছিট-কাপড় গ্যাবাডিং-প্যান্ট, হাফ শাট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর ৬০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে।

শহরের হকার্স, হাকিমপ্লাজা, মীর শপিং, পূরবী শপিং কমপ্লেক্স , পাল বাজার রোড সহ প্রত্যেকটি বিপনী বিতানে জমে উঠেছে ঈদের বেঁচাকেনা। কম বাজেটের অনেকেই ভীড় জমাচ্ছে হাসান  আলী মাঠ ও শহীদ মিনারের পূর্ব পাশের ভ্রাম্যমান ভ্যান বাজারে।

ক্রেতা বিক্রেতারা  জানান, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিপণি-বিতান দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।