বুধবার , মার্চ ১৯ ২০২৫

আ’লীগ, ১৪ দলের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধের দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নেতারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জনগণ। প্রধান প্রধান সংস্কারগুলো জনগণের নির্বাচিত সরকার করবে। এজন্য দ্রুততম সময়ে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছেন তারা। পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে সংলাপে জোর দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল এবং সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সংলাপে।

শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তৃতীয় দফায় এ সংলাপ করেন অন্তর্বর্তী সরকার। বিকেল ৩টায় প্রথমে গণফোরামের সাথে শুরু হয় সংলাপ। রাতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি সাথে আলোচনার মধ্যদিয়ে সংলাপ শেষ হয়।।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। সংলাপে সংবিধান, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. কামাল হোসেন কথা বলেছেন বলে জানান দলটির সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু।

এলডিপি এই নেতা আরো বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমাদের বহু ছেলেমেয়ে হতাহত হয়েছে। দেড় হাজারের ওপরে ছেলেমেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকে বলে আরো বেশি হবে যার কোনো হিসাব নাই। অনেক লাশ পুড়িয়ে ফেলছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে।’

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। নিষিদ্ধ করা হচ্ছে নাকি নিষিদ্ধ করা হবে সেটা মুখ্য না। একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হবে নাকি হাইকোর্ট থেকে কোনো আদেশের মাধ্যমে হবে সেটি পরের ব্যাপার, কিন্তু সেই প্রক্রিয়াটা আরম্ভ হওয়া উচিৎ।