বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালন করা হবে। এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ হিসেবেও সমধিক পরিচিত। এবার দিবসটির ১৩৩তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে। এ দিনটি মাঠে-ঘাটে, কলকারখানায় খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন। শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথের দিন আজ।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’।
এই দিনে শ্রমিক এবং মালিকের চেতনার জায়গাটি প্রসারিত হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়। শ্রমিক মালিকের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার স্বার্থ ও কল্যাণের সাথে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শোষণ, বঞ্চনা, লাঞ্ছনা থেকে মুক্তির দীপ্ত শপথে বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের দিনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় দিন। প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যেদিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনটি পালিত হলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এ ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ বছর সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।