বুধবার , অক্টোবর ৯ ২০২৪

আছাদুজ্জামান মিয়া ও হারুনের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা ছাড়াও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। আজ রোববার দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদকের গোয়েন্দা শাখার প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

এদিকে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীর বিপুল সম্পদ থাকার খবর আগে থেকেই গণমাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছিল। খবরে বলা হয়, তাঁদের নামে বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বড় অঙ্কের অর্থ জমা রয়েছে। বিদেশে অর্থ জমা রাখার ব্যাপারে তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো অনুমতি নেননি। গত ৪ মার্চ এসব প্রমাণ ও নথি টিআইইউকে ও টিআইবির উদ্যোগে বিএফআইইউ, দুদক, সিআইডি, এনবিআর ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এদিকে আর্থিক খাতে আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে টাকা লুটপাটের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুদক। পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এবং এস আলম গ্রুপের ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেওয়ার অভিযোগেরও তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের অঢেল সম্পদ নিয়ে গত মার্চ মাসে সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর ১৮ এপ্রিল দুদক কমিশন সভায় বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। অনুসন্ধানের পর সম্পদ জব্দ করা হলেও মামলা করা হয়নি।