বুধবার , অক্টোবর ২৯ ২০২৫

মতলব সেতুতে নেই বিদ্যুৎ ও স্ট্রিট লাইট, জনদুর্ভোগ চরমে

মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার সংযোগস্থল ধনাগোদা নদীর ওপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ মতলব সেতুতে নেই কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ বা স্ট্রিট লাইট। ফলে সন্ধ্যা নামলেই সেতুটিতে নেমে আসে ঘন অন্ধকার, সৃষ্টি হয় এক ভূতুড়ে পরিবেশ। এতে সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতলব সদর বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চাঁদপুর জেলা সদর ছাড়াও রায়পুর, লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশ জেলার যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে। দিনে সেতুর দুই পাশে ফলের দোকান, ভ্যানগাড়ি ও ফুসকার দোকান থাকায় কিছুটা আলো থাকে; কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই চার্জার বাতির ক্ষীণ আলো ছাড়া গোটা সেতু অন্ধকারে ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা, চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। নারী, শিশু ও পথচারীদের জন্য এ পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ফুটপাত দিয়ে অন্ধকারের মধ্যেই নারী-শিশুসহ মানুষজন চলাচল করছে। কোথাও কোনো লাইট নেই। ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা ভ্যানগাড়ির চার্জার বাতি জ্বেলে ব্যবসা করছেন। যানবাহনের হেডলাইটের আলোতেই কিছু সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয় সেতুর পথ, পরে আবার ডুবে যায় অন্ধকারে। ফলে পথচারীরা বারবার একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছেন, অনেকেই আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রণয়, মোস্তফা ও কামাল হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর থেকেই এই সেতুতে লাইট দেখি নাই। রাতে সেতুটা পুরোপুরি অন্ধকার থাকে। ব্যবসা করতে ও চলাচল করতে ভয় লাগে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এখানে স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা।

স্থানীয়দের দাবি, মতলব সেতুটি দুই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হওয়ায় এখানে দ্রুত বিদ্যুৎ ও স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা জরুরি। না হলে দুর্ঘটনা ও অপরাধের আশঙ্কা আরও বাড়বে।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মতলব সেতুতে বিদ্যুৎ বা স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য কোনো বরাদ্দ এখনো দেয়া হয়নি। সাধারণত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদগুলো স্থানীয় উদ্যোগে এসব স্থাপন করে থাকে।

এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমজাদ হোসেন বলেন, উপজেলার যেসব স্থানে লাইট আছে কিন্তু অকেজো, সেগুলো মেরামত ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর প্লাজা, নিউ হোস্টেল এলাকাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নতুন করে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যেসব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ, সেখানে খুব শীঘ্রই লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।