মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৯ ২০২৫

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার “বিশ্ববিদ্যালয় দিবস–২০২৫”ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে । দিবসটির প্রতিপাদ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

 

জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন  চাঁবিপ্রবি মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.পেয়ার আহম্মেদ। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস–২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী পর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, গবেষণা-সংস্কৃতি ও শিক্ষাখাতে আধুনিকায়নের চলমান পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

 

পরে ক্যাম্পাস থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি বের হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও আশপাশ প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ফিরে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম ও ব্লাড গ্রুপিং হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের সেমিনার রুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ। তিনি বলেন,“বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু বই পড়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয়, বরং নীতি-নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ সময়। শিক্ষার্থীদের উচিত সততা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলা। একজন মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ তার জ্ঞান নয়, বরং তার সৎ চরিত্র।”

 

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো মায়ের দোয়া। মায়ের আশীর্বাদই জীবনের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখায়। এজন্য প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ ফারক হোসেন।

সমস্ত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথাযথ শৃঙ্খলা ও উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা, গবেষণা, মানবিকতা ও জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে নতুন অঙ্গীকারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেন।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অগ্রগতি, শিক্ষা-গবেষণায় মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাম্প্রতিক অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিকাল ৩:০০ ঘটিকায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি এবং নাটিকা দর্শকদের মুগ্ধ করে।