চাঁদপুর পৌরসভার ৩০ লক্ষ টাকার ট্যাক্সের বকেয়া পরিশোধ না করায় শহরের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ময়লার স্তুপ রেখে দিয়েছে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ব্যতিক্রমী এই শাস্তির ঘটনা ঘটে ৯ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের পৌর বাসস্টেশন এলাকায়।
এই ঘটনায় সমগ্র চাঁদপুর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষ বিপক্ষ মত দিচ্ছে নেটিজেনরা। কেউ কেউ ব্যাতিক্রমী এই শাস্তির জন্য চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষে ধন্যবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এই অমানবিক এবং পরিবেশ দূষণকর কর্মকাণ্ডের জন্য নানাভাবে সমালোচনা করেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ‘গত দেড় বছরে চাঁদপুর পৌরসভার জনদুর্ভোগ নীরসনে কোন উদ্যোগ বা উন্নয়ন নেই। অথচ পৌর প্রশাসক এই দেড় বছরে দুইবার পানির বিল ও পৌরসভার ট্যাক্স বাড়িয়েছে।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের আভিজাত বিপনী মার্কেট ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের গাড়ির গ্যারেজের সামনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লার ভাগার। এসব ময়লা পৌরসভার নিজস্ব যানবাহনে করে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে স্বর্ণগোলায় ডাম্পিং করে পৌর কর্তৃপক্ষ। একটি অভিজাত বিপনী মার্কেটের সামনে এমন ময়লার স্তূপের জন্য মার্কেটে আসা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছে ওই পথে যাতায়াত করা পথচারীরা। তবে ওই সময়ে সেখানে পৌরসভার কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীদের দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন মশু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মার্কেটের কিছু বকেয়া বিল থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে এমন অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বকেয়া থাকলে বৈধভাবে নোটিশ দিতে পারতেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বা অন্যান্য সেবা বন্ধ করতে পারতেন। কিন্তু মার্কেটের সামনে ময়লার স্তুপ ফেলে দেওয়া কোনো সভ্য প্রশাসনের কাজ নয়।
এদিকে ঘটনাটির কারণে শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, আশপাশের দোকানদার ও সাধারণ পথচারীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ময়লার দুর্গন্ধে দোকানে বসা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী নূর আজম শরীফ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এটি সাময়িক একটি প্রতিকী উদ্যোগ। মার্কেটে মালিক পক্ষ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তার ট্যাক্স পরিশোধ করবে। আমরা সবোর্চ্চ এক ঘন্টার মধ্যে এগুলো সরিয়ে ফেলব।
