জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ অক্টোবর সোমবার বিকেলে বাইতুল আমিন জামে মসজিদ চত্বরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পৃথক পৃথক মিছিল এসে সমাবেশে যোগ দেয়। পরে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা আমীর চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।
তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন দেশের জনগণের ন্যায্য দাবি। নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ করে এ সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের এমপি পদপ্রার্থী এডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের আমীর এড. মোঃ শাহজাহান খান, সদর আমীর মাওঃ আফসার উদ্দিন মিয়াজী, শহর শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইসলাম ও গণতন্ত্র রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা দাবি জানান।
এসময় এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
সমাবেশে ৫ দফা দাবি জনসম্মুখে উল্লেখ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
