হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়ে ৩ প্রতিষ্ঠানের ২ কোটি টাকা ক্ষতি

খালেকুজ্জামান শামীম

হাজীগঞ্জ বাজারে অগ্নিকান্ডে ৩টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার ভোররাতে হাজীগঞ্জ বাজারের বড় পুলের পূর্ব পাশের্^ ফারিয়া ফার্ণিচার হাউজ, কাঠগোলা ফার্ণিচার হাউজ ও হারেছ প্লাজায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে প্রায় নগদ ৭লাখ ৮০হাজার টাকাসহ ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদুত্যিক শক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের ৩টি টীম কাজ করে প্রায় দেড় ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী দোকানের কর্মচারী হাবীব খান ও রিপন পাটওয়ারী জানান, রাত সাড়ে তিনটার সময় আমরা কাঠগোলায় ছিলাম। হঠাৎ করে আগুনের তাপ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে। প্রাণে রক্ষা পেয়ে ঘর থেকে বের হয়েই দেখি দোকানগুলো পুড়ে যাচ্ছে।

মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে একের পর এক প্রতিষ্টানগুলো পুড়তে থাকে। হেদায়েত উল্ল্যাহ মিরন হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এসে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে করতে দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এর ফাঁকে শাহ্রাস্তির ফায়ার সার্ভিস এসে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে।

কাঠগোলা ফার্ণিচারের মালিক আবদুল মান্নান তালুকদার জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে নগদ ৬ লাখ টাকা ছিল। আমার প্রায় ১ কোটি টাকার ফার্ণিচার, ফোম, আলমিরা, সোপাসহ মালামাল পুড়ে যায়। ফারিয়া ফার্ণিচারের মালিক আমির হোসেন খোকন ও মোহন তালুকদার বলেন, আমার ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার মধ্যে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিল। হারেছ প্লাজার মালিক জানান, আমার তুলা, ফোম, ফার্ণিচারসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বাজারের ব্যবসায়ী কবির তালুকদার জানান, হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উদাসীনতার কারণে এত বড় ক্ষতি হয়েছে।

তাদেরকে খবর দেওয়ার পর তারা এসে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছিল। তাদের রিজার্ভ পাম্পে পানি না থাকার কারণে পানির ব্যবস্থা করতে করতে পুরো প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

হাজীগঞ্জ ফায়ার ষ্টেশনের ষ্টেশন অফিসার জাকির হোসেন জানান, আমরা ৪.৩৫ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দোকানগুলোতে স্পিড জাতীয় দ্রব্যাদি থাকার কারণে আগুনের স্পিড বেশি ছিল। সে কারণে আগুন দ্রæত গতিতে বেড়ে যায়।

তবে পানির ব্যবস্থা করতে করতে একটু বিলম্ব হলেও শাহ্রাস্তি ও কচুয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাদের সাহায্যে দেড় ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এখানে ৬টি ইউনিটে ৩টি টীম কাজ করেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতির পরিমান বলা যাবে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

এঘটানায় হাজীগঞ্জ শাহ্রাস্তি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম টেলিফোনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহাবুব-উল-আলম লিপন সহ বাজারের ব্যবসায়ীর নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্যাপশণ ঃ হাজীগঞ্জ বাজারে অগ্নিকান্ডে ৩টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।